সার্থক কুমার দে,লাউদোহাঃ ভোট প্রচারে রাজনৈতিক উত্তাপের মাঝে ধরা পরল অন্য চিত্র। বিজেপি কর্মীর বাড়িতে আমন্ত্রণে মধ্যাহ্ন ভোজন করলেন তৃণমূল বিধায়ক। বুধবার জেমুয়া গ্রামের ঘটনা। ১৯ মে চতুর্থ দফাতে ভোট হবে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল ও বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে। জোর কদমে চলছে প্রচার। মাঝে মধ্যেই বাক বিতন্ডায় জড়াচ্ছে শাসক বিরোধী নেতা কর্মীরা। যার ফলে ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। এই আবহে বুধবার ধরা পরল অন্য চিত্র। বিজেপি কর্মীর বাড়িতে পাত পেড়ে মধ্যাহ্ন ভোজন সারলেন তৃণমূল বিধায়ক নরেন চক্রবর্তী। নির্বাচনী প্রচারের মাঝে এদিন দুপুরে জেমুয়া গ্রামের বাসিন্দা তথা বিজেপি কর্মী ধর্মদাস গোপের আমন্ত্রণে তার বাড়ি যান পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক তথা শাসক দলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। দুপুরে ধর্মদাস বাবুর স্ত্রী যত্ন সহকারে নরেন বাবুর জন্য খাবারের থালা সাজিয়ে দেন। পাত পেড়ে সেই খাবার তৃপ্তি সহকারে খান নরেন বাবু। আসার সময় ধর্মদাস বাবুর স্ত্রীর হাতে মমতা ব্যানার্জির ছবি আঁকা একটি শাড়ি উপহার তুলে দেন নরেন বাবু। উল্লেখ্য ধর্মদাস বাবু গত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটে পদ্মফুল প্রতীকে পঞ্চায়েত সমিতির আসনে প্রার্থী ছিলেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল আর রাজনৈতিক মতাদর্শের অমিল থাকলেও নরেন বাবু এলাকার বিধায়ক। বিধায়ক সবার। তিনি আমারও বিধায়ক। তাছাড়া নরেন বাবু এলাকার উন্নয়নে যে কাজ করেছেন তাতে বাসিন্দা হিসাবে আমরা খুশি। নরেন বাবু বলেন,ধর্মদাস বাবু বর্তমানে বিজেপির কর্মী হলেও আগে তিনি তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সেই সূত্রেই তার সাথে দীর্ঘদিনের পরিচয়,ব্যক্তিগত সম্পর্ক। দুজনের রাজনৈতিক দল আলাদা হলেও সেই ব্যক্তিগত সম্পর্ক এখনো অটুট রয়েছে,আশা করি আগামী দিনেও সম্পর্ক একই থাকবে। অন্যদিকে ধর্মদাস বাবু বলেন,বিধায়ক বাড়িতে এসেছেন,মধ্যাহ্নভোজন করেছেন এর মধ্যে কোন রাজনৈতিক কারণ নেই। ব্যক্তিগত সম্পর্ক রাজনীতির উর্ধ্বে।
বিজেপি কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজন করলেন তৃণমূল বিধায়ক নরেন চক্রবর্তী
RELATED ARTICLES