Monday, May 6, 2024
Google search engine
Homeদক্ষিণবঙ্গ‘কেষ্ট এ্যারেস্ট হলে কেন গদ্দার এ্যারেস্ট হবে না’ আউশগ্রামের নির্বাচনী সভায় নাম...

‘কেষ্ট এ্যারেস্ট হলে কেন গদ্দার এ্যারেস্ট হবে না’ আউশগ্রামের নির্বাচনী সভায় নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

নিজস্ব প্রতিনিধি,বর্ধমানঃ বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অসিত মালের সমর্থনে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের হাইস্কুল মাঠে নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন (শুভেন্দু) ওতো খুনি। তিনি বলেন,প্রচণ্ড গরম,বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। আমি এসি ইউজ করি না। দেওচা,পাচামি করছি। একশো বছর যাতে বিদ্যুৎ পায়। ডানকুনি থেকে পানাগড়,রঘুনাথপুর (পুরুলিয়া) ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর তৈরি করা হচ্ছে। মমতা বলেন,এটা আমার ইলেকশন নয়,দিল্লীর ইলেকশন। বিজেপির বাংলায় দুটো চোখ। কংগ্রেস ও সিপিএম। এদেরকে জেতাতে হবে। রেড করেই বলছে হয় বিজেপিকে ভোট দাও,নয় জেলে যাও। তিনি বলেন,তৃণমূলকে চোর বলার আগে মহারাষ্ট্র উত্তর প্রদেশের রিপোর্ট কার্ড বের কর। ৪৩ হাজার বাংলার বাড়ি করে দিয়েছি। একশো দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র দেয় নি। আমরা দিয়েছি। আমরা নতুন প্রকল্প তৈরি করেছি। তার নাম কর্মশ্রী। ৫০ দিনের কাজ পাবেন জর্ব কার্ড হোল্ডাররা। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,১১ লক্ষ বাড়ির টাকা আমরা ৬ মাসের মধ্যে দেবো। মোদীর নাম না করে আউশগ্রামের সভায় তাকে ‘প্রচারবাবু’ বলে কটাক্ষ করেন মমতা। তিনি বলেন, সকাল, দুপুর রাতে সব সময়েই ‘প্রচারবাবু’র মুখ। রেশন আমরা দিই বাংলায় প্রায় ১১ কোটি লোকেকে। ওদের মত দিতে গেলে মাত্র ২০ থেকে ৩০ লক্ষ লোককে দিতে পারি। একটা ব্যাগে যদি কেউ পাঁচ কেজি চাল দিয়ে ছবি,লোগো লাগিয়ে দেয়।  ৯ হাজার কোটি টাকা রাজ্যকে দিতে হয়। ৩০ হাজার কোটি দিয়েছি রেশনের জন্য। একশো দিনের কাজের টাকা আমরা দিলাম। ৪৩ লক্ষ লোকের বাড়ি করে দিয়েছি। ‘প্রচার বাবু’ বিজ্ঞাপনে বলছে,আমরা বিনা পয়সায় রেশন দিই। নয় হাজার কোটি টাকা রাজ্যকে দিতে হয়। কেন্দ্রকে দিতে হয় সাত হাজার কোটি। কুড়ি হাজার কোটি আমরা দিয়েছি রেশনে। বাড়ি তৈরির টাকা কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে। আগেরবার লোকসভা নির্বাচনে ৩০৩ হয়েছিল ৫৪৩ এর মধ্যে বিজেপির আসন। এবার পাবে না। উত্তর প্রদেশ,বিহার,মধ্যপ্রদেশে সিট কমবে। কেরলে,কর্ণাটক,তেলেঙ্গানায় সিট কমে যাবে। ভাওতা দিয়ে মিথ্যা কথা বলে প্রচার করছে। ইলেকশনের আগে লোক পায় না,ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে আসে মিছিলে। ‘প্রচারবাবু’রা বলবে তাই আপনাদের খেতে হবে। মধ্য প্রদেশে, রাজস্থান,উত্তর প্রদেশে মাছের দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। চাকরি দেবার ক্ষমতা নেই। আর চাকরি কেড়ে নিচ্ছে। ভাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই আর কিল মারার গোঁসাই। আবার এক মাসের সুদসহ টাকা ফেরত দিতে হবে। বিজেপি ফেরত দিতে পারবে। বাংলার চাকরি হবে না,স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি প্রশ্ন তোলেন,বিজেপির বিচার হয় ?  তুমি পরামর্শ দিতে পারতে। তা না করে  ২৬ লক্ষ ছেলের চাকরী কেড়ে নিয়েছে।  সারাদেশের কাছে আবেদন বিজেপিকে ভোট দেবেন না। বিজেপি একটা জুমলা পার্টি,চোর ডাকাতের পার্টি। চাকরী খাওয়ার সরকার আর নেই দরকার। তিন মাস পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবো বলেছে ওরা। মমতা বলেন, কে রে তুই। আগামীদিনেও টাকা বাড়বে। যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন লক্ষ্মী ভাণ্ডার দেওয়া হবে। আর ৬০ বছর বয়স নয়। আজীবন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেওয়া হবে। অন্যদিকে মমতা,রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মে মাসে ৪ % ডিএ বাড়বে। কোন শিক্ষক একটা ভোটও দেবেন না বিজেপিকে। পাশাপাশি মমতা বলেন, এরা হাইকোর্ট, সিবিআই, বিএসএফ,এনআইএ কিনে নিয়েছে।  দূরদর্শনের রং গেরুয়া করা হয়েছে। সাধুরা গেরুয়া রং পড়বে। বিজেপি তো ভোগী। ওরা কেন এই রং পড়বে। বিজেপি জিতলে আর দেশে কোন নির্বাচন হবে না।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments