নিজস্ব প্রতিনিধি,বর্ধমানঃ শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দলে গুরুতর জখম তৃণমূল কর্মীকে দেখতে শনিবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। এখানে উল্লেখ্য গত ১০ এপ্রিল শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলে পূর্ব বর্ধমানে গলসিতে স্বপন মল্লিক নামে একজন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী মারাত্মক জখম হন।তাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখান থেকে তাকে স্থানান্তর করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।ইদের উপহার দিতে স্ত্রী রূপা মল্লিক ও এক নাতনিকে নিয়ে মেয়ের বাড়ি শিড়ারাই গ্রামে গিয়েছিলেন স্বপন। শিড়ারাই আর পোতনার মাঝে তার উপরে হামলা হয়।সন্ধ্যায় বাইকে গ্রামে ফেরার সময়ে তাঁকে লাঠি,টাঙি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্বপন মল্লিকের বাড়ি মনোহরপুর সুজাপুর গ্রামে।স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বপনের সঙ্গে দীর্ঘদিন বিবাদ চলছিল গ্রামেরই নেতা ইমদাদুল হক মল্লিক ওরফে তারার। মাস কয়েক আগে গ্রামে ঢোকার মুখে কয়েক জন দুষ্কৃতী তারাকে ঘিরে ধরে মারধর করে। তিনি এখনও চিকিৎসাধীন। তখন স্বপনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে। এ দিনের ঘটনা তারই পাল্টা বলে দাবি দলের একাংশের। বিজেপির দাবী, তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে মুসলমানরা সুরক্ষিত নয়।বিধায়ক গোষ্ঠীর লোকজন দুর্নীতি করেছে একশো দিনের কাজের। তার প্রতিবাদ করায় আর এক তৃণমূল কর্মী আক্রান্ত হয়েছে।দিলীপ ঘোষ বলেন, চুরি বা অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই তৃণমূল নেতারা আক্রমণ করছে।তৃণমূল কর্মীরাও এর থেকে রেহাই পাচ্ছে না।বিধায়ক গোষ্ঠীর লোকজন একশো দিনের কাজের টাকা লুট করেছে।স্বপন তার প্রতিবাদ করেছিল।তাই সে আক্রান্ত হয়েছে।আমরা স্বপনের পরিবারের পাশে আছি। এরা,খুবই গরীব। যতটা পারলাম সাহায্য করেছি। আগামী দিনেও আমরা সাহায্য করবো।স্ত্রী রূপা মল্লিক বলেন,তার সামনে স্বামীকে মারধর করে।বাধা দিতে গেলে তার নাতনি ও তার গলায় ছুরি ধরে আক্রমণকারীরা। তিনি দোষীদের সাজা দাবী করেন।
আহত তৃণমূল কর্মীকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন দিলীপ ঘোষ
RELATED ARTICLES