নিজস্ব প্রতিনিধি,বর্ধমানঃ স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের জেরে শাশুড়ি ও স্ত্রীকে কুপিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক ব্যক্তি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শাশুড়ির,গুরুতর জখম অবস্থায় বর্ধমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্ত্রী। বুধবার পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের ছোড়া গ্রামের আদিবাসীপাড়ায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে ছোড়া আদিবাসীপাড়ায় মঙ্গলবার গভীর রাতে শাশুড়িকে ও স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে সোম সোরেন নামে এক ব্যক্তি। তারপর সে পালিয়ে যায়। মৃত্যু হয় শাশুড়ি মুঙ্গুলি মুর্মুর (৬৫)। সোমের স্ত্রী সুকতি সোরেনকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা বননবগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। পরে তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার গলার নলি কেটে দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকালে ওই গ্রাম থেকে বেশ কিছুটা দূরে মাঠের মধ্যে একটি গাছে অভিযুক্ত সোম সোরেনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবার সূত্রে জানা যায়,স্ত্রী সুকতির সঙ্গে এক ব্যক্তির পরকীয়া সম্পর্ক আছে এই সন্দেহ থেকে প্রায় পাঁচমাস ধরে সংসারে অশান্তি চলছিল। এনিয়ে একাধিকবার আদিবাসীপাড়ায় সালিশিসভাও বসে। কিন্তু স্বামী স্ত্রী সম্পর্কের উন্নতি কিছুতেই হয়নি। তখন থেকেই সোম আলাদা থাকতেন। পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না। সুকতির বাপেরবাড়িতে এক আত্মীয়ের বিয়ে ছিল। মঙ্গলবার রাতে বিয়েবাড়ির অন্যান্য মহিলারাও তখন শুয়ে পড়েন। একটি ঘরে ছিলেন সুকতি ও তার বৃদ্ধা মা। সেসময় চুপিসারে সোম ধারালো অস্ত্র হাতে চড়াও হয়। এরপর শাশুড়ি ও স্ত্রীকে কোপাতে থাকে। তখন পুরুষরা ওই বাড়িতে কেউ ছিলেন না। মাত্র কয়েকজন মহিলা ছিলেন। তাদের মধ্যে দু তিনজন উঠে পড়ে চিৎকার শুরু করেন। পালিয়ে যায় সোম। রাতেই জখমদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মঙ্গুলিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। বুধবার সকালে সোমকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ জানান পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দুটি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পুলিশ মর্গে।
স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের জেরে শাশুড়ি ও স্ত্রীকে কুপিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক ব্যক্তি
RELATED ARTICLES