দুর্গাপুর,২৬ এপ্রিলঃ বর্তমান অস্থির এই সময়ে সম্প্রীতির এক উজ্জ্বলতম নজির দেখা গেল শহর দুর্গাপুরে। দুর্গাপুরের সগরভাঙ্গার বাসিন্দা উর্মিলা খান মিদ্দা (৬৫) প্রচণ্ড শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে ভর্তি ছিলেন বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে। ২৫ এপ্রিল সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন। তাঁর সেই ইচ্ছানুসারে তাঁর দেহ পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ,আচার্য্য সত্যেন্দ্রনাথ বোস বিজ্ঞান কেন্দ্রের সহায়তায় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে এদিন আইকিউ সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দান করা হয়। একই সঙ্গে তাঁর চক্ষুদান করা হয় দুর্গাপুর ব্লাইন্ড রিলিফ সোসাইটিতে। প্রয়াত উর্মিলা খানের দুই কন্যা আমিনা খান এবং শামীমা মৈত্র জানান,মায়ের শেষ ইচ্ছে তারা গর্বের সঙ্গেই পূরণ করেছেন। বিজ্ঞান মঞ্চের দুর্গাপুর শাখার সম্পাদক দেবব্রত চৌধুরী তাঁর পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জানান, “মরণোত্তর দেহদানের বিষয়ে ধারাবাহিক প্রচারের ফলে দুর্গাপুরেও এখন বিষয়টি ক্রমশঃ জনপ্রিয় হচ্ছে। অনেকেই উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে আসছেন এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের স্বার্থে মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হচ্ছেন”। তিনি আরও মনে করেন,“উর্মিলা খান মিদ্দা এই অশান্ত সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বলতম নজির তৈরি করে গেলেন। দুর্গাপুরে দেহদান আন্দোলনের ক্ষেত্রে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন উর্মিলা খান মিদ্দা”। উল্লেখ্য,চিকিৎসা বিজ্ঞানে শিক্ষামূলক ও গবেষণামূলক কাজে মানব দেহের প্রয়োজন থাকে। তাই,মরণোত্তর দেহদান এক গুরুত্পূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে।
দুর্গাপুরে সংখ্যালঘু পরিবারের মহিলার মরণোত্তর দেহদান
RELATED ARTICLES