নিজস্ব প্রতিনিধি,দুর্গাপুরঃ বিগত বছরগুলির তুলনায় এবছরের রথ উৎসবে বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে দীঘায় নির্মিত নতুন জগন্নাথ মন্দির। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পূরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে গড়ে উঠেছে দীঘার জগন্নাথ মন্দির। মন্দির উদ্বোধনের পর এবার রথ যাত্রার দিনও দীঘায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে রথযাত্রার সূচনা অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল রাজ্যের অন্যান্য জায়গার সঙ্গে দুর্গাপুরেও। দুর্গাপুর পুরসভার ডা.বিধানচন্দ্র রায় মেমোরিয়াল হলে সেই সম্প্রচার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুরসভার মুখ্য প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়,পুর কমিশনার আবুল কালাম আজাদ ইসলাম,মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক সায়ন্বিতা মাইতি প্রমূখ। শুক্রবার সারা বাংলার সঙ্গে দুর্গাপুর শহরও মেতে ওঠে রথযাত্রা উৎসবে। শহর জুড়ে ছোট বড় বহু রথ রাস্তায় বের হতে দেখা যায়। তবে এবার দুর্গাপুরের ইসকন রথযাত্রায় প্রথমবার দেখা গেল পুরীর মতো তিনটি আলাদা আলাদা রথে মাসির বাড়ি গমন করেন জগন্নাথ,সুভদ্রা ও বলরাম। এনিয়ে ইস্পাত নগরীর রাস্তায় দেখা গেছে মানুষের ঢল। দুর্গাপুরের সবচেয়ে জনপ্রিয় হল চিত্রালয়ে মেলা ময়দানের রথ ও রথের মেলা।এছাড়াও শহরের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি মঠ ও মন্দির রয়েছে,যাদের পক্ষ থেকেও রথ বের করা হয় এবং নানা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান মানা চলে উল্টোরথ পর্যন্ত। যেমন ইস্পাত নগরীর ডি সেক্টর মোড়ের শ্রী কৃতিরত্ন গৌড়ীয় মঠ। গৌড়ীয় মঠের এবছর রথযাত্রা ২৭ তম বর্ষে পদার্পন করেছে। গৌড়ীয় মঠ থেকে জগন্নাথ দেব, বলরাম, সুভদ্রা কে নিয়ে রথযাত্রা ইস্পাত নগরীর বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে গৌড়ীয় মঠের অস্থায়ী মাসীর বাড়িতে রাখা হয়। মঠের অধ্যক্ষ ভক্তিবেদান্ত শ্রী তীর্থ মহারাজ জানান,২৭ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত ভাগবত পাঠ, ভক্তিগীতি ও লীলা কীর্তন অনুষ্ঠিত হবে এই মঠে। প্রতিদিন ভক্তদের প্রসাদের ব্যবস্থা আছে। রথের দিন থেকে উল্টো রথ পর্যন্ত এই মঠে ভক্তদের ভীড় থাকে চোখে পড়ার মতো।

