সংবাদদাতা,অন্ডালঃ আগের উপপ্রধানকে ঘিরে দলের মধ্যে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে উপপ্রধানের পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন গণেশ বাদ্যকর। তার কাজকর্ম নিয়ে সদস্যদের একটা অংশ তীব্র প্রতিবাদ জানায়। পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভও করা হয়। এমনকি চোর অভিযোগ তুলে গণেশ বাদ্যকরের বিরুদ্ধে পোস্টারও সাঁটানো হয়েছিল বিভিন্ন এলাকায়। অবশেষে তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ব গণেশ বাদ্যকরকে উপপ্রধানের পদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। তার কদিন পর খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েতে নতুন করে উপপ্রধান নির্বাচন প্রক্রিয়া হয়। শনিবার এই নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্লক অফিসের পিডিও মোহাম্মদ এশার আলী। ২৩ জন সদস্যের মধ্যে গণেশবাবু সহ তৃণমূলের পাঁচজন ও সিপিএমের তিনজন সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন উপপ্রধান নির্বাচনে। জানা যায় উপস্থিত ১৫ জন সদস্য উপপ্রধান হিসেবে আশীষ ভট্টাচার্যকে সমর্থন জানান। ফলে সর্বসম্মতিক্রমে আশীষবাবু উপপ্রধান নির্বাচিত হন। নির্বাচন প্রক্রিয়ার শেষের পর আশীষবাবুর অনুগামীরা সবুজ আবির মেখে উৎসব পালন করেন পঞ্চায়েত অফিসের বাইরে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রানীগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়,দলের অন্ডাল ব্লক সভাপতি কালোবরণ মন্ডল সহ অন্যরা। কালোবরণ বাবু বলেন,দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আশীষ উপপ্রধান নির্বাচিত হয়েছেন ফলে জটিলতার সমাপ্তি ঘটেছে। এবার সবাই একসাথে মিলে এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করবে বলে জানান তিনি।
অবশেষে খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েত পেল নতুন উপপ্রধান
RELATED ARTICLES