সনাতন গঁরাই,ধবনিঃ সূর্য উদয়ের সাথে সাথেই শুরু হয় নীলকন্ঠ মুখোপাধ্যায়ের গান। সাধক কবির গান ভেসে আসে মাটির ঘর থেকে। এভাবেই যেন প্রতিদিনের সকাল শুরু হয় এই গ্রামে। কবি নেই কিন্তু সাধক কবির গানের ধারা আজও অব্যাহত। রাঢ়বঙ্গের মাটিতে জড়িয়ে। উনিশ শতকে রাঢ়বঙ্গের সাধক কবি নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায় গানের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন। সেই গানের ধারা শোনা যায় দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকে কবির জন্মস্থান ধবনির পাশের গ্রাম কাঁকসার জামবন গ্রামে। ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের ধবনি এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন সাধক কবি নীলকন্ঠ মুখোপাধ্যায়। মাত্র ১৩ বছর বয়সে পিতৃহীন হয়ে পড়েন তিনি। তারপর কলকাতার একটি দোকানে কাজ করতেন। সেখানেই গানের শিক্ষা হয় নিয়োগকারীর রক্ষিতার হাত ধরে। তারপর সেই গানের সম্পদ নিয়ে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের ধবনি গ্রামে ফিরে আসেন। তারপর থেকে ধবনির পার্শ্ববর্তী গ্রাম কাঁকসার জামবন এলাকায় সংগীত চর্চা শুরু করেন। গড়ে তোলেন সঙ্গীত ও যাত্রা দল। কৃষ্ণ যাত্রা গানের আসরও বসাতেন। সেই গান শোনার জন্য দূর-দূরান্তের মানুষ ছুটে যেতেন ওই গ্রামে। সেই গানের ধারা অব্যাহত রাখতে আজও মাটির ঘরে চলে নীলকন্ঠ মুখোপাধ্যায়ের গান। সেই গানের ধারাকে অব্যাহত রেখেছেন নীলকণ্ঠ কীর্তন সমাজের মানুষজন। নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়ের সেই গান-বাজনার ধারা বজায় রাখতে জামবন এলাকায় খড়ের ঘরের মধ্যে কেনারাম গোপ এবং তাঁর কীর্তন সম্প্রদায় সকাল- সন্ধ্যা রেওয়াজে বসেন। এলাকার বাসিন্দা সুদেব রায় জানান, সাধক কবিকে ঘিরে একাধিক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে রাঢ়বঙ্গ জুড়ে। সাধক কবির স্মৃতিকে ধরে রাখতে চায় গ্রামের মানুষ। গ্রামে গড়ে উঠছে নীলকন্ঠ মহাবিদ্যালয়। নীলকন্ঠ মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে প্রশাসন।
যে গ্রামে আজও মাটির ঘরে চলে নীলকন্ঠ মুখোপাধ্যায়ের গান
সূর্য উদয়ের সাথে সাথেই শুরু হয় নীলকন্ঠ মুখোপাধ্যায়ের গান। সাধক কবির গান ভেসে আসে মাটির ঘর থেকে। এভাবেই যেন প্রতিদিনের সকাল শুরু হয় এই গ্রামে।
RELATED ARTICLES