নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়াঃ পোল্ট্রি ফার্মের দেওয়াল ধসে এক শ্রমিকের মৃত্যু ও পাঁচ শ্রমিকের আহত হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় বাঁকুড়ার তালডাংরা থানার ডুমুরডিহা গ্রামে। ঘটনার খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে যান বাঁকুড়ার জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার। আহতদের উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তৃণমূল নেতাদের মদতে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করে নির্মাণ করাতেই এই দুর্ঘটনা বলে অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। বাঁকুড়ার তালডাংরা থানার ডুমুরডিহা গ্রামে সম্প্রতি একটি বিশালাকার পোল্ট্রি ফার্ম তৈরী করে একটি বেসরকারি সংস্থা। পোল্ট্রি ফার্মের একধারে থাকা গুদামঘর সম্প্রতি দোতলা করার কাজ শুরু করে সংস্থাটি। গতকাল দুপুরে আচমকাই ওই স্টোরের নির্মীয়মান দোতলার একটি পাঁচিল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ঘটনার সময় ওই স্টোরের টিনের শেডের বারান্দায় বসে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন শ্রমিকেরা। নির্মীয়মান দেওয়ালের একাংশ টিনের শেডের উপর ভেঙে পড়ায় চাপা পড়ে যান ৬ জন শ্রমিক। এরমধ্যে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কৃষ্ণ মল্ল নামে পোল্ট্রি ফার্মের এক শ্রমিকের,তার বাড়ি ওন্দা থানার চিঙ্গানিতে। শ্রমিকরা প্রথমে উদ্ধারকার্যে হাত লাগায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ,দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সকলের তৎপরতায় আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে যান বাঁকুড়ার জেলা শাসক এন সিয়াদ,পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি ও বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসুয়া রায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয় নি। অন্যদিকে গ্রামবাসীদের একাংশের দাবী স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মদতেই অতি নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। নির্মানের ক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কিনা বা নির্মানের সামগ্রীর মান কী ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার।
পোল্ট্রি ফার্মের দেওয়াল ধসে মৃত্যু,নির্মাণে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
RELATED ARTICLES