স্কুল চত্বরে ধস,আতঙ্কের আবহে পরীক্ষা দিল পড়ুয়ারা

সার্থক কুমার দে, পাণ্ডবেশ্বরঃ টানা বৃষ্টিতে ধস নামল হরিপুরে হাট সংলগ্ন সরকারি স্কুল চত্বরে। পরিত্যক্ত কয়লা খনির মাটি বসেই এই বিপর্যয় বলে মত স্থানীয়দের। আতঙ্ক সাথে নিয়ে এদিন স্কুলে পরীক্ষা দিলেন পড়ুয়ারা।নিম্নচাপের জেরে গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যে চলছে টানা বৃষ্টিপাত। বৃষ্টির মাঝে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হরিপুর হাট সংলগ্ন সরকারি স্কুল চত্বরে ঘটে ধসের ঘটনা। স্কুলের মিড ডে মিল রান্না ঘরের পাশেই ধসের কারণে তৈরি হয় বিশাল গর্ত। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন জামুরিয়া ও পাণ্ডবেশ্বর এর দুই বিধায়ক হরেরাম সিং এবং নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। আসেন পাণ্ডবেশ্বর এর বিডিও বৃষ্টি হাজরা, হরিপুর কোলিয়ারির এজেন্ট পঙ্কজ কুমার ঝা সহ অন্যরা। বৃহস্পতিবার ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই ধসের জায়গাটির চারপাশ ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বলে জানান পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপীনাথ নাগ। আজ ইসিএল কর্তৃপক্ষ মাটি ফেলে ধসের জায়গাটি মেরামতির কাজ শুরু করেছে। এলাকার বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ বাবু জানান এখানে আগে ইসিএলের পুরাতন ভূগর্ভস্থ খনি ছিল। খনিটি পরিত্যক্ত হওয়ার পর মাটি দিয়ে সেটি ভরাট করা হয়েছিল। টানা বৃষ্টির কারণে সেই মাটি বসে যাওয়ায় এই বিপর্যয় বলে মনে হয়। একই মত স্থানীয়দের। স্কুলের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইসিএল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে বলে জানান নরেন্দ্রনাথ বাবু। জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং বলেন ইসিএল কর্তৃপক্ষকে গোটা এলাকাটি সার্ভে করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে স্কুলটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান তিনি। হরিপুর কোলিয়ারির এজেন্ট পঙ্কজ কুমার ঝা বলেন ধস মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে ধসের জায়গাটি। উদ্বোতন কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। ধসের কারণ তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান তিনি। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে পাণ্ডবেশ্বর এর বিডিও বৃষ্টি হাজরা বলেন স্কুলে পরীক্ষা চলছে তাই সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ধসের কারনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্কুলের শিক্ষক ও পড়ুয়াদের মধ্যেও। স্কুলে পরীক্ষা চলছে। এদিন আতঙ্ককে সাথে নিয়েই পরীক্ষায় বসেন পড়ুয়ারা।