নিজস্ব প্রতিনিধি,১৮ জুলাই: আজ, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ মুরগি পরিবহণ। কোথাও কোনো মুরগি পরিবহনকারী ভ্যান বা গাড়ি চলবে না। তাই জেলায় জেলায় পৌঁছাবে না চিকেন। তাই, শুক্রবার সকালে কোথাও ফ্রেস চিকেন পাওয়া যাবে না। যেখানে যা স্টক আছে সেটাই কিনতে হবে ক্রেতাদের।এর ফলে বাজারে থাকা মুরগির দাম যে হু হু করে বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু কেন হঠাৎ এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো? জানা গিয়েছে, গত ১১ জুলাই মাঝরাতে একটি মুরগি বোঝাই গাড়ি যাচ্ছিল। সেই সময় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদা থানা এলাকায় ওই গাড়ির চালককে হেনস্থা করে পুলিশ। গাড়ির চালক তোলার টাকা না দেওয়ায় মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার প্রতিবাদেই ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে যতক্ষণ না কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, ততদিন তারা চিকেনের কোনো গাড়ি রাস্তায় চালাবে না। পুলিসের হেনস্থার শিকার ওই গাড়ির চালককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বেলদা হাসপাতালে। এরপর বেশ আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই চালককে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর সদর হাসপাতালে। এই ঘটনায় ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বেলদা থানার আইসি, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার ও নবান্নে মেল করা হয়। কিন্তু কোনও উত্তর মেলেনি। এরপর গত সোমবার পাঁশকুড়ার মেছোগ্রামে জেলা প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন। এই বৈঠকেই অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেন যে ১৮ জুলাই অর্থাৎ আজ বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে তারা মুরগির পরিবহণ বন্ধ রাখবেন অনির্দিষ্টকালের জন্য। সংগঠনের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, বৈধ নথি থাকা সত্বেও পুলিশ ওই মুরগির গাড়ি আটকে রাখে। হেনস্থা করা হয় চালককে। টাকা চাওয়া হয়। পুলিশ যে টাকা চেয়েছিল সেই টাকা চালকের কাছে না থাকায় উনি দিতে অস্বীকার করেন। চালক নিজের সাধ্য মতো পঞ্চাশ টাকা দিতে চেয়েছিলেন। আর তার জন্য কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা ওই চালককে টর্চের পিছন দিক দিয়ে মাথায় জোরাল আঘাত করেন। রক্তাক্ত হন চালক। তাকে গালিগালাজও করা হয়”।
বেলদা কান্ডের জের,রাজ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য চিকেন সরবরাহ বন্ধ হতে চলেছে
RELATED ARTICLES