দুর্গাপুর,২৩ জুনঃ বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার এসটিএফের প্রায় ২০ জনের একটি কাঁকসা এলাকায় অভিযান চালায়। সেই অভিযানে জঙ্গি যোগ সন্দেহে কাঁকসা থানা এলাকা থেকে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম মহম্মদ হাবিবুল্লা। হবিবুল্লা পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদ থানা এলাকার মানকর কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এসটিএফ জানতে পেরেছে সে বাংলাদেশের আনসার উল ইসলাম জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। ওই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্য আদানপ্রদান করত এই ছাত্র। হবিবুল্লা এবং তার বাবা মহম্মদ ইসমাইল মুন্না ও পরিবারের কয়েকজনকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। হবিবুল্লার বাড়ি থেকে নথি ও সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত কাঁকসা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসটিএফ সূত্রে খবর, ‘শাহাদাত’ নামে এক নতুন জঙ্গি গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশেও এই জঙ্গি গোষ্ঠী অত্যন্ত সক্রিয়। তাছাড়া বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার–আল–ইসলামের’ সঙ্গেও ‘শাহাদাত’ জঙ্গি সংগঠনের যোগ আছে। এমনকী ঘুরপথে আল–কায়দার সঙ্গেও যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। ধৃতদের মধ্যে তিনজন সরাসরি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ এসটিএফের। কাঁকসা থানা থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরত্বে মীরেপাড়া এলাকায় হানা দিয়ে মহম্মদ হবিবুল্লা নামে ওই কলেজ ছাত্রকে আটক করা হয়। তার পর চলে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং ইউএপিএ আইনে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে তিনজন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত বলে জানতে পেরেছেন এসটিএফের অফিসাররা। হবিবুল্লার ভাই অষ্টম শ্রেণির ছাত্র তাকেও গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। এদের জেরা করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা চালাচ্ছে এসটিএফ আধিকারিকরা।
জঙ্গি যোগ সন্দেহে গ্রেফতার মানকর কলেজের ছাত্র সহ কয়েকজন
RELATED ARTICLES