বেবি চক্রবর্ত্তী,কলকাতা,১১ সেপ্টেম্বরঃ ১৮৯৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর শিকাগো বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে স্বামী বিবেকানন্দের ঐতিহাসিক ভাষণ ভারতবর্ষকে দিয়েছিল ভাতৃত্ববোধের নতুন প্রেরণা। সেই যুগান্তকারী ঘটনাকে স্মরণ করে রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার গোলপার্কের পরিচালনায় বুধবার দক্ষিণ কলকাতার চেতলা পার্কে স্বামীজীর মূর্তির পাদদেশে এক যুব সমাবেশের আয়োজন করা হয়। রামকৃষ্ণ মিশন ২৬ বছর ধরে এই দিনটিকে বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব দিবস হিসাবে পালন করে আসছে। এই উপলক্ষে রামকৃষ্ণ মিশনের তরফ থেকে এক বিশাল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। দক্ষিণ কলকাতার চেতলা পার্কে স্বামীজীর মূর্তির পাদদেশ থেকে রওনা দিয়ে এই শোভাযাত্রা অদ্বৈত আশ্রম সেবা প্রতিষ্ঠান,সারদা মিশন, মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন,কথামৃত ভবন,স্বামীজীর বাড়ি,বলরাম মন্দির,তার স্কুল ও বাড়ি,মায়ের বাড়ি,উদ্যানবাটি,বরাহনগর মিশন ও মঠ সহ রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দের স্মৃতিধন্য কলকাতার বিভিন্ন স্থান স্পর্শ করে দক্ষিণেশ্বরের আদ্যাপীঠ মন্দিরে সমাপ্ত হয়। চেতলা পার্কের স্বামীজীর মূর্তির পাদদেশ থেকে শোভাযাত্রার শুভ সূচনা করেন রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার গোলপার্কের স্বামী ইষ্টব্রতানন্দজী মহারাজ। তিনি বলেন যে, “হিন্দু ধর্ম সকল ধর্মের জননী,হিন্দু ধর্ম সকল ধর্মকে স্বীকার করে। ধর্ম মানে জাতির উন্নতি প্রগতি। নিবেদিতার শুধু ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই নয়, স্বতন্ত্র স্বাধীনতার জন্যও ছিল তাঁর লড়াই”। শোভাযাত্রার শুভ উদ্বোধনের পর স্বামী ইষ্টব্রতানন্দজী মহারাজ এই দিনটির গুরুত্ব সহ স্বামীজীর বিভিন্ন ভাবধারার কথা অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় বুঝিয়ে দেন। পরে রামকৃষ্ণ মিশনের তরফ থেকে আদ্যাপীঠ মন্দিরের নাট মন্দিরে একটি ধর্ম সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এই ধর্ম সমাবেশে দক্ষিণেশ্বর রামকৃষ্ণ সংঘ আদ্যাপীঠের সম্পাদক ব্রহ্মচারী মুরালভাই এবং বেলুড় মঠ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী নিষ্ঠানন্দজী মহারাজ বক্তব্য পেশ করেন। এদিনের এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সন্ন্যাসী বৃন্দ।
স্বামী বিবেকানন্দের ঐতিহাসিক শিকাগো বক্তৃতা স্মরণে শোভাযাত্রা
RELATED ARTICLES