নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়া: প্রচারে গিয়ে কেউ দিলেন সাঁওতাল বিদ্রোহের নায়ক সিধু কানহু মূর্তিতে মালা, কেউ আবার গ্রামের আটচালায় হরিনাম সংকীর্তনের কীর্তন দলের সঙ্গে নিতাই গৌউর কে করলেন প্রদক্ষিণ কিন্তু সকলেই একে অপরকে চেষ্টা করলেন রাজনৈতিক আঙিনায় টেক্কা দেওয়ার। জঙ্গলমহলে সারেঙ্গা প্রচারে নামলেন তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। প্রথমে সারেঙ্গা বাজার এলাকায় থাকা সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা সিধু কানহুর মূর্তিতে মাল্যদান করা। এরপর হুড় খোলা গাড়িতে কখনো পায়ে হেঁটে জনসংযোগে ব্যস্ত হলেন তৃনমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। গত লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গল মহলের মানুষ ঢালাও ভোট দিয়ে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের জয়যুক্ত করেছিল বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারকে, সেই ভোট হয়েছিল মোদির হাওয়ায় এমনটাই দাবী তৃণমূল প্রার্থীর। তার আরো দাবি বাঁকুড়ার মানুষের দুর্ভাগ্য একটা কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী পেয়েও কোনরকম শিক্ষার উন্নয়নে ব্যবস্থা করেন নি। তিনি অন্য দিকে শুধুমাত্র জেলা পরিষদের সভাধিপতি হয়েই বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করেছেন। জঙ্গলমহলের মানুষ ফুসছে,ফল রেজাল্টের দিন টের পাবেন। জঙ্গলমহলে প্রচারে বিজেপি প্রার্থীও প্রচারে গিয়ে হরিবোল সংকীর্তনের কীর্তন দলের সঙ্গে নিতাই গৌউর কে প্রদক্ষিণ করলেন বিদায়ী কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।বাঁকুড়ার জঙ্গলমহল রানীবাঁধ এলাকায় প্রচারে গিয়ে হরিনাম সংকীর্তনে কীর্তন দলের সঙ্গে পা মেলালেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। এদিন প্রথমে তিনি আখখুটা বাজার, জামদা, হলুদকানালী, ঘোড়াধরা গ্রামে হুড়খোলা গাড়িতে করে প্রচার সারেন। প্রচারে যেখানেই গেছেন সেখানেই মানুষ তাকে ফুলের মালা দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন। চাড়র গ্রামের আটচালায় হরিনাম সংকীর্তন দলের কীর্তন চলছিল। সেই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আটচালায় সেই হরিনামে সংকীর্তন দলের সঙ্গে নিতাই গৌউর প্রদক্ষিণ করেন বিজেপি প্রার্থী। তার দাবি মানুষের সাথে সাথে তৃণমূলও ভাবতে শুরু করেছে বিজেপির জয় নিশ্চিত।পিছিয়ে নেই বামফন্টও, জঙ্গলমহল প্রচারে গিয়ে মানুষের বিভিন্ন না পূরণ হওয়া চাহিদা নিয়ে সরব হলেন সিপিআই এম প্রার্থী।বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের সারেঙ্গা এলাকায় প্রচারে সিপিআইএম প্রার্থী নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত। আজ বাম কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে সারেঙ্গা বাজার সহ বিভিন্ন এলাকার প্রচারে চসে বেড়ালেন বাম প্রার্থী। সিপিআই এম প্রার্থীর দাবি মানুষের নিত্য দিনের চাহিদা পূরণে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার দুই সরকারই ব্যর্থ। জঙ্গলমহলের আদিবাসী হোস্টেল বন্ধ, পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে কাজ নেই, জল নেই, শিক্ষক নেই, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মানুষ ভুল বুঝতে পেরেছে তাই জয়ের ব্যাপারে ১০০% আশাবাদী
