সংবাদদাতা,কাঁকসাঃ নিরাপত্তার গাফিলতিতেই শ্রমিকের মৃত্যু এই অভিযোগ তুলে ক্ষতিপূরণের দাবিতে কারখানার গেটের সামনে মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ শুরু করে মৃতের পরিবার ও এলাকাবাসী। ঘটনা বাঁশকোপার একটি কারখানার। কর্তৃপক্ষ কোনো কথা বলতে না চাওয়ায় কারখানার ভেতরেই ঢুকে পড়ে মৃত শ্রমিকের পরিবার পরিজনেরা এবং এলাকাবাসীরা। বাধা দিতে গেলে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কাঁকসা থানার এএসআই সুদীপ ভট্টাচার্যকে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে এলাকাবাসীরা। পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিও হয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ওই কারখানায়। জানা গেছে, শুক্রবার রাতে বাঁশকোপার একটি বেসরকারি ইস্পাত কারখানায় পাইপ পড়ে কর্মরত এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। মৃত শ্রমিকের নাম ছিদাম দাস (৫৮)। বাঁশকোপা এলাকার বাসিন্দা। শনিবার দুপুর থেকে মৃতের পরিবার কাজ এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে কারখানার সামনে মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। মৃতদেহ রেখে কয়েক ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চলার পরেও কারখানা কর্তৃপক্ষ কোন সদুত্তর না দেওয়ায় কারখানার ভেতরেই ঢুকে পড়েন এলাকাবাসী এবং মৃত শ্রমিকের পরিবার-পরিজনেরা। বাধা দিতে গেলে পুলিশকে ঘিরে ধরে চলে বিক্ষোভ। পুলিশের সাথে চলে এলাকাবাসীর তুমুল ধস্তাধস্তি। উত্তেজনা সামাল দিতে পৌঁছায় কাঁকসা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। মৃতের মেয়ে পার্বতী দাস বলেন,”বাবার মৃত্যু হয়েছে নিরাপত্তার অভাবেই। এখন কারখানা কর্তৃপক্ষ নাটক করছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে এবং আমাদের পরিবারের একজনকে কাজ দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাব চালিয়ে যাবো।” এই ঘটনায় কারখানা চত্বরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
ক্ষতিপূরণের দাবিতে কারখানার সামনে মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ
RELATED ARTICLES