নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান: বৃহস্পতিবার বর্ধমানে আসছেন বলিউডের খ্যাতনামা দুই অভিনেতা অভিনেত্রী আসরানি এবং ভাগ্যশ্রী। বাংলার দুর্গাপুজো এবং সেই পুজোকে কেন্দ্র করে যে কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাই দেখতে বর্ধমানে আসছেন এই দুই বলি তারকা। মঙ্গলবার পঞ্জিকা মতে বিজয়া দশমী হলেও এখনও গোটা জেলা জু়ড়ে পুজোর হ্যাং ওভার চলছে। বিশেষত বারোয়ারী দুর্গাপুজো মণ্ডপে মণ্ডপে একাদশীর সকালেও চলছে ভিড়। তারই মাঝে বৃহস্পতিবার বর্ধমানে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুর্গাপূজো কার্নিভ্যাল। বুধবার সকাল থেকেই এই কার্নিভ্যালের জন্য চুড়ান্ত প্রস্তুতির কাজ চলছে। দফায় দফায় জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার থেকে অন্যান্য পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস জানিয়েছেন, গতবছর থেকে বর্ধমান শহরে এই কার্নিভ্যাল শুরু হয়েছে। গতবছর এই কার্নিভ্যাল দেখতে হাজির হয়েছিলেন বলিউডের একদা খ্যাতনামা অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডে। আর এবার আসছেন চরিত্রাভিনেতা গোবর্ধন আসরানি এবং অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রী পাটবর্ধন। বিধায়ক জানিয়েছেন, বিকাল সাড়ে চারটেয় বর্ধমান শহরের নীলপুর মোড় থেকে এই কার্নিভ্যাল শুরু হয়ে কার্জন গেটের সামনে জিটিরোড হয়ে পুরসভা মোড়ে শেষ হবে। এবার মোট ২৮টি ক্লাব এই কার্নিভ্যালে অংশ নিচ্ছে। যদিও দ্বিতীয় বছরে অনেক বেশি ক্লাবের অংশ নেওয়ার পূর্বাভাস থাকলেও কয়েকটি ক্লাব রাজ্য সরকারের শারদ সম্মান দেবার বিষয়কে রীতিমত কাঠগড়ায় তুলে গটআপ বলে অভিহিত করে এই কার্নিভ্যাল অংশ না নেবার কথা জানিয়েছে সোস্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। উল্লেখ্য, প্রথমবছর তথা গতবছর বর্ধমানের এই দুর্গাপুজো কার্নিভ্যালে মোট ৩১টি ক্লাব অংশ নিয়েছিল। খোকন দাস জানিয়েছেন, এবারে ২৮টি ক্লাব অংশ নিচ্ছে। প্রত্যেক ক্লাবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডিজে বাজানো যাবে না। প্রতিটি ক্লাব মোট ৫টি গাড়ি ব্যবহার করতে পারবে। কার্জনগেটের মূল মঞ্চের সামনে প্রতিটি ক্লাব তাদের থিম প্রদর্শন করবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই। খোকন দাস জানিয়েছেন, প্রথমবার এই কার্নিভ্যাল নিয়ে উত্সাহ যা ছিল এবারে তা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁরা আশা করছেন লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে এই কার্নিভ্যাল দেখার জন্য। কার্নিভ্যাল দেখার জন্য মূল অতিথিদের মঞ্চের পাশাপাশি প্রবীণ নাগরিক, বিশিষ্ট খেলোয়াড় প্রমুখদের জন্যও আলাদা একটি মঞ্চ করা হয়েছে। খোকন দাস জানিয়েছেন, গতবছর তথা প্রথম বছরের ত্রুটি বিচ্যুতি গুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে তাঁরা এবার এই অনুষ্ঠান ত্রুটিহীন করার চেষ্টা করছেন। তিনি জানিয়েছেন, গতবছর অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলির পক্ষ থেকে পানীয় জলের অপ্রতুলতার কথা বলা হয়েছিল। তাই এবারে নীলপুর মোড় থেকে পুরসভা পর্যন্ত মোট ৩টি পয়েণ্ট করা হচ্ছে এবং পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বর্ধমান শহরের পাশাপাশি এবছর থেকে জামালপুরেও শুরু হচ্ছে দুর্গা কার্নিভ্যাল। জামালপুরের তৃণমূল বিধায়ক অলোক মাঝি জানিয়েছেন, এবারে তাঁরা ৬টি ক্লাবকে নিয়ে এই কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠিত করছেন। জামালপুর ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে হালাড়া মোড় থেকে জামালপুর পুলমাথা পর্যন্ত এই কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ৩টে থেকে এই কার্নিভ্যাল শুরু হবে। অলোক মাঝি জানিয়েছেন, কলকাতার রাজপথে কার্নিভ্যাল হয়, বর্ধমান শহরেও শুরু হয়েছে এই কার্নিভ্যাল। কিন্তু জামালপুরের মানুষের পক্ষে এই দুই জায়গাতে গিয়ে কার্নিভ্যাল দেখা সম্ভব নয়। তাই জামালপুরে এই কার্নিভ্যালের আয়োজন করা হচ্ছে প্রথমবার।তিনি জানিয়েছেন, এবারের সফলতার ওপর পরের বারের ব্যাপকতা নির্ভর করছে।
বর্ধমানে দুর্গা কার্নিভ্যাল দেখতে আসরানি আর ভাগ্যশ্রী
RELATED ARTICLES