দুর্গাপুর,২৮ এপ্রিলঃ সোমবার দুর্গাপুর ব্যারেজ পরিদর্শন করলেন রাজ্যের সেচ ও জল সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী ডা.মানস ভুঁইয়া। ব্যারেজের উপর দীর্ঘ ৭০ বছরের পুরানো সেতুর রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়ায় সেই রাস্তা সংস্কারের কাজে হাত লাগিয়েছে রাজ্যের সেচ দফতর। এই জন্য সেতুর নিচে তৈরী হয়েছে একটি বিকল্প অস্থায়ী রাস্তা। এদিন সেই রাস্তার কাজ পায়ে হেঁটেই পরিদর্শন করেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলা শাসক এস পুন্নমবলম,জেলার পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী,বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারী.বাঁকুড়ার জেলা শাসক এন সিয়াদ,বাঁকুড়ার সাংসদ অরুপ চক্রবর্তী এবং দুই জেলার সেচ দফতরের আধিকারিকরা। পরিদর্শনকালে তিনি বলেছেন,এই সেতু দিয়ে বাঁকুড়া সহ আটটি জেলার যোগাযোগ। তাই, আমাদের লক্ষ্য হল মানুষের কোনো সমস্যা সৃষ্টি না করে ধাপে ধাপে এই সেতুর রাস্তা সংস্কার করে তোলা। বর্ষার জন্য আগামী ১৫ জুনের আগেই এই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান। কিন্তু, বিকল্প রাস্তার পাঁচটি জায়গায় জল জমে থাকা নিয়ে তিনি আপত্তি তুলে বলেছেন, বড় গাড়ির সমস্যা না হলেও অটো টোটো বাইক উল্টে যেতে পারে। বিষয়টি দেখার জন্য তিনি সেচ দফতরের আধিকারিকদের বলেছেন। উল্লেখ্য, সেতুর রাস্তা সংস্কার হবে বলে ব্রিজের নীচের দিকে একটি বিকল্প রাস্তা তৈরী হয়েছে। সেই রাস্তা দিয়েই এখন দুচাকা,চারচাকা,অটো টোটো চলাচল করছে। সেতুর রাস্তায় কেবলমাত্র যাত্রীবাহী বাস,দমকল,অ্যাম্বুলেন্স যেতে দেওয়া হচ্ছে। পণ্যবাহী ভারী গাড়িগুলিকে মেজিয়ার দিক থেকে যেতে বলা হচ্ছে। মানস ভুঁইয়া এদিন ব্যারেজের দুদিক সরেজমিনে দেখেন এবং সেচ আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথাও বলেন। দুর্গাপুর সেচ দফতরের বাঙলোয় তিনি এক বৈঠকও করেন। মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন,নদী বাঁধ ভাঙনের জন্য ২০১৪ সাল থেকে তারা কোনো অর্থ দেয় না। বাঁধ সংস্কার, পুনর্সংস্কার ও নদী ভাঙনের জন্য এক কানা কড়িও দেয়নি কেন্দ্র। যা করা হয় বাজেটে বরাদ্দ থাকা টাকা থেকেই করে রাজ্য সরকার। প্রতি বছর রাজ্য সরকার ২৮৬ থেকে ২৯০ কিমি নদীবাঁধ সংস্কার করে। তারজন্য আমাদের বাজেট বরাদ্দ থেকে খরচ দিতে হয় ৫৮৫ কোটি টাকা। অথচ কেন্দ্রীয় সরকার ২ লক্ষ কোটি টাকা না দিয়ে বাংলাকে নানাভাবে বঞ্চিত করছে। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পলি তোলার দায়িত্ব দিয়েছেন ডবলুবিএমডিটিসিএলকে। এটি শিল্প দপ্তরের একটি শাখা। এরাই পলি তোলার কাজটি দেখবে। তিনি বলেন, পলি ও মাটি তোলা ও কাটার জন্য এজেন্সিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। যা থেকে রাজস্ব বা রেভিনিউ পাওয়া যাবে। উল্লেখ্য, ১৯৫৫ সালে তৈরী এই দুর্গাপুর ব্যারাজ। এই প্রথম বড় ধরনের সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, ব্যারাজের বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা গোটা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন।
দুর্গাপুর ব্যারেজ সংস্কারের কাজ পরিদর্শন করলেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া
RELATED ARTICLES