সংবাদদাতা,পুরুলিয়া,৭ জুলাইঃ কাশ ফুল ফোটে নি, নেই শরতের মেঘ, শুধুমাত্র ঢাকের বাদ্যিই জানান দিল পুজোর প্রস্তুতি শুরুর। কার্যত রীতি মেনেই আজ থেকে পুরুলিয়া জেলা জুড়ে শুরু হয়ে গেল শারদ উৎসবের প্রস্তুতি। রথ যাত্রা উপলক্ষে রীতি ও প্রথা মেনে কোথাও কুমোর পাড়া থেকে মৃন্ময়ী রূপি দুর্গা ঠাকুর দালানে প্রবেশ হল কোথাও আবার পরম্পরা মেনে দুর্গার কাঠামোতে মাটি দিয়ে প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হল। হল পূজো মণ্ডপের খুঁটি পূজো। পুরুলিয়া জেলার গ্রামাঞ্চলের বনেদি বাড়ি এবং বারোয়ারী পুজোয় এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে এদিন। পুরুলিয়া শহরের সাধুরডাঙ্গা এলাকায় বাগালবাবার আশ্রমে সাত দশকের বেশি সময় ধরে পুজো হয়ে আসছে। পুজোর বর্তমান সেবায়ত এবং পুরোহিত শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আজকের এই বিশেষ দিনে কুমোর পাড়া থেকে তিন মাটির প্রলেপ চড়ানো মৃন্ময়ী আচার নিয়ম মেনে ঠাকুর দালানে নিয়ে যাওয়া হল। পুরুলিয়া শহরের নামোপাড়ায় নীলকন্ঠ পরিবারের প্রাচীন পুজোর প্রস্তুতি করোনা আবহেও। কাঠামোতে মৃৎ শিল্পী মাটি দিয়ে মূর্তি গড়ার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করলেন আজ। প্রাচীন পারিবারিক পুজোর এই রীতি ও পরম্পরা মলিন হয়ে যায় নি। নীলকণ্ঠ চট্টোপাধ্যায় পরিবারের ঠাকুরদালানে রথযাত্রার দিন এই আচার দেখা গিয়েছে।সেখানেই ঢাকির সুর তাল শারদোৎসবের আমন্ত্রণ জানালো। পারিবারিক পুজোর এই রীতি আবেগ উসকে দিল বলে জানালেন নামোপাড়ার বাসিন্দা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সুদিন অধিকারী। তাঁর কথায়, পুজো প্রস্তুতি এক-একটা পর্যায় প্রত্যাশায় পৌঁছে দেয়। নামোপাড়ার নীলকণ্ঠ চট্টোপাধ্যায় পরিবারের এই পুজো পারিবারিক হলেও প্রতিটি পুজোর পর্যায়ে সমান ভাবে উপভোগ করেন এলাকাবাসী বলে জানান তিনি। ওই পরিবারের সদস্য রাজর্ষি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পারিবারিক প্রাচীন রীতি অনুযায়ী কাঠামোতে মাটি দেওয়া হল আজ। বলা যেতে পারে প্রতিমা গড়ার এই প্রথা আমাদের শারদ উৎসবের আমেজ এনে দিল।”
রীতি মেনে দুর্গা প্রতিমা মন্দিরে আনা হল,কাঠামোতে পড়ল মাটি
RELATED ARTICLES