নিজস্ব প্রতিনিধি,বর্ধমানঃ “মানুষকে খুন করার বদলা কী হয়? সংগ্রামী জনতা যখনই রাস্তায় নেমেছে ওরা পাগল হয়ে যায়। আর পাগলে কী না বলে,ছাগলে কী না খায়”। পূর্ব বর্ধমানের জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে রবিবার এলো ইন্সাফ যাত্রা। সেখানেই ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর ‘বদলা’ মন্তব্যের চাঁচাছোলা প্রতিক্রিয়া দিলেন বাম যুব নেত্রী মীণাক্ষী মুখার্জী। এদিন তিনি আরো বলেন, “বিধায়ক যদি মানুষের দায়িত্ব না নিয়ে বদলা নেবার কথা বলেন তাহলে আর কী বলার আছে! আমরা মানুষের দাবি নিয়ে পথে নেমেছি। আমাদের ওসব নিয়ে ভাবার সময় নেই”। ২৬ নভেম্বর ইনসাফ যাত্রার ২৪ তম দিনে বর্ধমানের পথে কার্জন গেটের সামনে বক্তব্য রাখেন ডিওয়াইএফআই এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জী। এদিনের র্যালিতে ছিলেন প্রাক্তন যুব নেতা আভাস রায়চৌধুরী,বিশিষ্ট চিত্র পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় সহ বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-যুব নেতৃত্ব এবং বাম কর্মী সমর্থকেরা। প্রসঙ্গত, ‘এবার বদল নয় বদলা চাইবো’ বলে হুঁশিয়ারি দেন ভাতারের তৃণমূল বিধায়ক ডাকাবুকো বলে পরিচিত মানগোবিন্দ অধিকারী। সিপিএমের ইনসাফ যাত্রার পাল্টা হিসাবে শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর নেতৃত্বে ভাতারের বলগোনা বাজার থেকে ভাতার বাজার পর্যন্ত পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। পদযাত্রা শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মানগোবিন্দ অধিকারী বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,’আমাদের নেত্রী সেদিন বলে দিয়েছেন,আমাদের চারজনকে ঢুকিয়েছে, আমরা আটজনকে ঢোকাবো। আগে বলেছিল, বদলা নয় বদল চাই, কিন্তু এবার বদলা চাইবো।’ তিনি মিছিল শেষে সভায় বলেন,২০১০ সালের ১০ জানুয়ারী বনপাস স্কুলে তোতন মল্লিককে মারা হয়েছিল বোম মেরে। সেখানে পুলিশের রিপোর্ট কি,আপনারা জানেন না। পুলিশের রিপোর্ট তোতন মল্লিক নিজের বোমে নিজে মরেছে। আমাকে ২০১১ সালে ৩০ জানুয়ারী ভাতারের তেঁতুলতলায় গুলি করা হয়েছিল ভাতার স্কুল ইলেকশনে। পুলিশ গুলিটা সিজ করেছিল। আমিও পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম গুলিটা সিজ করেছিল। সেই পুলিশ অফিসার বলেন,বড় সাহেবের নির্দেশে ওটা দেখানো হয় নি। তাহলে ইনসাফ ওরা কি চাইবে? আমরা ইনসাফ চাইবো।” রবিবার বাঁকুড়া মোড় থেকে ইন্সাফ যাত্রা মূল শহরে প্রবেশ করে স্টেশন পর্যন্ত যায়। সেখানেই বিধায়ককে পালটা আক্রমণ করেন মীণাক্ষী।
মানুষকে খুন করার ‘বদলা’ কী হয়? মানগোবিন্দকে পাল্টা মিনাক্ষীর
RELATED ARTICLES