Thursday, May 9, 2024
Google search engine
Homeদক্ষিণবঙ্গপুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বাড়ি ভাঙচুর,উত্তেজনা রায়নায়

পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বাড়ি ভাঙচুর,উত্তেজনা রায়নায়

নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান: পুলিশের সামনেই ক্রুদ্ধ আদিবাসীরা দেদার ভাঙছে মন্ত্রীর বাড়ীর প্রধান ফটক, ঘরের দরজা জানালা, চপার চালিয়ে ফালাফালা করে দিচ্ছে বাগান সাজানোর সৌখিন গাছ। কাল রাত থেকে পর পর দুবার এমন তাণ্ডবের সাক্ষী থাকলো রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীর গ্রামের বাড়ি। রায়না ব্লকের মাধবডিহি থানার কানারহাটি গ্রামে। মন্ত্রী বা তার পরিবারের কেউ তখন গ্রামের বাড়িতে অবশ্য ছিলেন না। কাউকে না বলে পুকুরে শোল মাছ ধরতে গিয়ে এক যুবককে বেধড়ক মারের অভিযোগ উঠল মন্ত্রীর বাড়ির রক্ষীদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের বাড়ি মাধবডিহি থানার কামারহাটি গ্রামে। জানা গেছে, সোমবার রাতে এই ঘটনায় এলাকার প্রায় ৫০০ আদিবাসী মানুষ মন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে মাধবডিহি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। গ্রামবাসী নান্টু সাঁতরা, জগত মুখার্জ্জী প্রমুখরা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের পুকুরে শোল মাছ ধরার জন্য জাল নিয়ে যান এলাকার যুবক মহিন্দ্র হেমব্রম। বিষয়টি দেখতে পেয়ে মন্ত্রীর বাড়ির কেয়ারটেকার ওই যুবককে ধরে ফেলে। অভিযোগ, তাকে মন্ত্রীর বাড়িতেই একটি ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে রড, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। যদিও এই সময় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের বাড়ির কেউই ছিলেন না। আহত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে, এই ঘটনার পরই রাত্রে মন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার আদিবাসী মানুষ। এমনকি রাতেই মন্ত্রীর বাড়ি ভাঙচুর করার চেষ্টা চালানো হয়। অন্যদিকে, এদিন সকাল থেকে ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। সোমবার রাতে মন্ত্রীর বাড়ির কেয়ারটেকার যাঁরা ওই যুবককে মারধর করেন এদিন সকাল থেকে তাদের শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েনও করা হয়। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের স্থানীয় কামারহাটি হাইস্কুল মাঠে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা ফিরিয়ে দেয় গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীরা দাবী জানান, যাঁরা ওই যুবককে মারধর করেছে তাদের গ্রামবাসীদের সামনে হাজির করতে হবে। কিন্তু এদিন ওই ব্যক্তিদের হাজির না করানোয়, এদিন পুলিশের সামনেই মন্ত্রীর বাড়ি ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, সোমবার রাতে যাঁরা মহিন্দ্র হেমব্রমকে মারধরে যুক্ত ছিলেন এদিন তাদের বাড়িও চড়াও হন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। তাদের বাড়িও ভাঙচুর করেন গ্রামবাসীরা। ফলে গোটা ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কামারহাটি গ্রাম। রাজ্যের একজন মন্ত্রীর বাড়িতে এভাবে ভাঙচুরের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এব্যাপারে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, “খুব বিশ্রী একটা ব্যাপার ঘটে গেলো। এটার পেছনে অবশ্যই রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে। পুলিশ আর আমাদের পার্টির লোকেরা বিষয়টি দেখছে।”

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments