নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়াঃ চোখ ও পেটের রোগের সমস্যায় জর্জরিত বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়ার মুক্তা দত্ত নামে এক বৃদ্ধা হাতে পেলেন স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড। বছর ৬২ মুক্তা দত্তের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে একাধিকবার আবেদন করলেও কাজ হয়নি। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদিকা চিত্রাভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার দলীয় কর্মসূচীতে গ্রামে এসেছিলেন। সেখানেই তাঁর কাছে নিজের সমস্যা জানান মুক্তাদেবী আর তাতেই কাজ। সায়ন্তিকার কাছে বিষয়টি জানানোর মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে সরকারী ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় বিডিও-র উপস্থিতিতে অতি তৎপরতার সঙ্গে বাড়ি গিয়ে মুক্তা দত্ত হাতে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড পৌঁছে দিলেন।বৃদ্ধা মুক্তা দত্তের দাবী, তাঁতের কাজ করে সামান্য রোজগারে আমার সংসার চলে। দীর্ঘদিন চোখ ও পেটের সমস্যায় ভূগছি। সায়ন্তিকা আমাকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করেছিল, তার কাছে আমার সমস্যা জানিয়েছিলাম। এখন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তিনি পেয়েছেন এখন ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত খুশি, চোখের অপারেশন করে আবার কাজ শুরু করতে পারবেন। কিছু সমস্যার কারণে তিনি কার্ড পাচ্ছিলাম না। সম্প্রতিকালে তিনি আবেদন করেছিলেন এবং তার পরে পরেই তারা হাতে কার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে এমনটাই দাবি বিডিও।এবিষয়ে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদিকা চিত্রাভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, উনি পরিবারে একা থাকেন। আমার নজরে বিষয়টি আসার পরেই জেলাশাসককে বলে অতি তৎপরতার সঙ্গে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড করানোর ব্যবস্থা করেছি। এই ঘটনায় প্রমাণ করে ‘দুয়ারে সরকার প্রকল্প ফেল’ দাবি স্থানীয় সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকারের। তিনি বলেন, এখন ‘নেতা মন্ত্রীদের পকেটে সরকার চলছে’ বলেও তিনি দাবি করেন।
‘দুয়ারে সরকারে’ আবেদন করেও কাজ হয়নি,অবশেষে কাজ হলো ‘দুয়ারে সায়ন্তিকা’য়
RELATED ARTICLES