নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়াঃ বন দফতরের অনুমতি ছাড়াই বাঁকুড়া শহরের ফুসফুস হিসাবে পরিচিত পলাশতলার জঙ্গল কেটে সাফ করার অভিযোগ উঠল এক শ্রেনীর প্রোমোটারের বিরুদ্ধে। রাতের অন্ধকারে ওই জঙ্গলে বড় বড় গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। পরিবেশপ্রেমীদের একাংশ স্থানীয় থানা ও বন দফতরের দ্বারস্থ হতেই নড়েচড়ে বসেছে বন দফতর। দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আস্বাস দিয়েছে বন দফতর। কিন্তু প্রশ্ন প্রশাসনের নাকের ডগায় কেন এই নজরদারির অভাব? কেনই বা পরিবেশপ্রেমীরা অভিযোগ জানানোর পর প্রশাসনের ঘুম ভাঙল? বাঁকুড়া শহরের ফুসফুস হিসাবে পরিচিত পলাশতলার জঙ্গল। গন্ধেশ্বরী নদীর পার্শ্ববর্তী এই পলাশতলা জুড়ে রয়েছে বহু প্রাচীন পলাশ ও শিমুল গাছের জঙ্গল। সারা বছর ধরে শহরের অসংখ্য মানুষ ব্যস্ততা কাটাতে এই জঙ্গলে এসে দুদন্ড শান্তি পায়। সারা বছর অসংখ্য প্রাত:ভ্রমণকারীদের গন্তব্যও থাকে এই জঙ্গল। বসন্তে পলাশ ফুল ফুটলে জেলার তো বটেই ভিন জেলার অনেক পর্যটকও পলাশ দেখার আশায় হাজির হন এই পলাশতলায়। সেই জঙ্গলেই এবার পড়েছে প্রোমোটারদের থাবা। রাতারাতি প্রোমোটাররা জঙ্গল কেটে সাফ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। বন দফতরের অনুমতি ছাড়াই রাতারাতি জঙ্গলের একাংশের বড় বড় গাছ কেটে সাফ করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নজরে আসতেই তড়িঘড়ি বাঁকুড়া সদর থানা ও বন দফতরের দ্বারস্থ হয় পরিবেশপ্রেমীরা। লিখিত অভিযোগ পেতেই নড়েচড়ে বসে বন দফতর। দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় বন দফতরের আধিকারিকরা। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু গাছের গুঁড়ি ও গাছ কাটার যন্ত্রপাতি উদ্ধার করে বন দফতর। স্থানীয় পরিবেশপ্রেমীদের দাবী যে কোনো মূল্যে তাঁরা এই জঙ্গল রক্ষা করবেন। তাঁদের দাবী শুধু গাছ কাটা বন্ধ করা নয়, কঠোর শাস্তির দাবি জনিয়েছেন তারা। বন দফতর জানিয়েছে অভিযোগ পাওয়ার পরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। অনুমতিবিহীন ভাবে গাছ কাটা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। গতবছরও পরিবেশপ্রেমীরা এই জঙ্গলে প্রোমোটারদের গাছ কাটার প্রতিবাদ জানানোর পর নড়েচড়ে বসেছিল বন দফতর। স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন কেন বারবার অভিযোগ পাওয়ার পর বন দফতর তৎপর হচ্ছে? কেন প্রশাসনের নাকের ডগায় থাকা এমন গুরুত্বপূর্ণ বনভূমি রক্ষায় সারাবছর নজরদারি রাখছে না বন দফতর?
বন দফতরের অনুমতি ছাড়াই বাঁকুড়ায় জঙ্গল কেটে সাফ করার চেষ্টা প্রমোটারের
RELATED ARTICLES