Thursday, May 9, 2024
Google search engine
Homeদক্ষিণবঙ্গজলজ্যান্ত বৃদ্ধ কাগজে কলমে মৃত,৪ বছর ধরে বন্ধ বার্ধক্য ভাতা

জলজ্যান্ত বৃদ্ধ কাগজে কলমে মৃত,৪ বছর ধরে বন্ধ বার্ধক্য ভাতা

নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়াঃ  আশি ছুঁয়েছে। কিন্তু এখনো জলজ্যান্ত ঘুরে ফিরে বেড়ান বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের কানাকাটা গ্রামের নজর আলি খান। কিন্তু কাগজে কলমে তাঁর মৃত্যু হয়েছে চার বছর আগেই। অতএব বন্ধ হয়ে গেছে বার্ধক্য ভাতা। চূড়ান্ত অসহায়তার মধ্যে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন কানাকাটার নজর আলি খান। রবি ঠাকুরের জীবিত ও মৃত ছোটগল্পে কাদম্বিনীকে মরিয়া প্রমাণ করিতে হইয়াছিল সে মরে নাই। দফতরে দফতরে ঘুরেও নিজেকে যখন জীবিত প্রমাণ করতে পারেননি নজর আলি খান তখন হয়তো তাঁকেও গ্রহণ করতে হবে সেই একই পথ। বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের কানাকাটা গ্রামের বছর আশির বাসিন্দা নজর আলি খান আর পাঁচ জন উপভোক্তার মতোই সরকারী বার্ধক্য ভাতা পেতেন। মাসিক এক হাজার টাকা ভাতায় কিছুটা হলেও সুরাহা হয়েছিল অভাবের সংসারে। কিন্তু ২০২০ সালে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় তাঁর ভাতা। খোঁজ খবর নিয়ে তিনি জানতে পারেন কাগজে কলমে তিনি আর বেঁচে নেই। এমন ঘটনায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে নজর আলি খানের। নিজে জীবিত আছেন তা প্রমাণ করতে এরপর শুরু হয় তাঁর বিভিন্ন দফতরে ছোটাছুটি। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিডিও অফিস বারেবারে তিনি ছুটে গেছেন। বারেবারে আবেদন জানিয়েছেন দুয়ারে সরকার শিবিরেও। কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই এক দফতর অপর দফতরের ঘাড়ে দোষ ঠেলে নজর আলি খানকে জানিয়ে দিয়েছে তিনি কাগজে কলমে মৃত। অগত্যা চার বছর ধরে বন্ধ রয়েছে বার্ধক্য ভাতা। নিদারুণ দারিদ্রে কাটছে তাঁর সংসার। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে কীভাবে নজর আলি খান প্রমাণ করবেন যে তিনি জীবিত? এই ঘটনার জন্য বিরোধীরা দুষছে খোদ শাসক দল ও প্রশাসনকেই। শাসক দল ও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত বিষয়টি জানে না তা নয়। কিন্তু শাসক দল ও স্থানীয় সিমলাপাল গ্রাম পঞ্চায়েতের দাবী এটা আসলে একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। যত দ্রুত সম্ভব সেই ভুল সংশোধনের চেষ্টা করা হচ্ছে। স্থানীয় বিডিও জানিয়েছেন কোনো একটি সমস্যা হয়েছে। দ্রুত সেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments