নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়াঃ গ্রামের মানুষের সাথে কোনোরকম আলোচনা ছাড়াই ইচ্ছেমতো জায়গায় নলকূপ বসানোর প্রতিবাদে গ্রাম পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলনে নামলেন আদিবাসীরা। ঘটনা বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধনশিমুল গ্রামের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামনে এসেছে তৃনমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দও। বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল পরিচালিত। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন ধনশিমুল গ্রামের দেবস্থানে একটি নলকূপ বসানোর দাবী দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছিলেন গ্রামের প্রায় ৪০টি আদিবাসী পরিবার। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে ওই নলকূপ তৈরীর প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়। কিন্তু গ্রামবাসীরা হঠাৎ দেখেন গত রাতে রাতারাতি ঠিকাদার দেবস্থান থেকে অনেকটা দূরে ওই নলকূপ খনন করে চলে গেছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ,গ্রামের মানুষের সাথে এমনকি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের সাথে কোনোরকম আলোচনা না করে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের মদতে ইচ্ছেমতো জায়গায় ওই নলকূপ খনন করেছে ঠিকাদার। পঞ্চায়েত প্রধানের এই স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে আজ ধানশিমুল গ্রামের বাসিন্দারা মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েতে হাজির হয়ে পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এদিকে গ্রাম পঞ্চায়েতে আদিবাসীদের বিক্ষোভ আছড়ে পড়তেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ। পঞ্চায়েত পরিচালনার ক্ষেত্রে একাধিক বেনিয়ম ও তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ ঠিকাদাররা ইচ্ছেমতো কাজ করাতেই এই সমস্যা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন খোদ তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অবশ্য সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর প্রতিশ্রুতি গ্রামবাসীদের দাবীমতো জায়গাতে পৃথক একটি নলকূপ খনন করা হবে। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দের বিষয়টি তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন। বিজেপির দাবী সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আদিবাসীরা সবথেকে বেশি বঞ্চিত। কোথাও প্রতিবাদী মানুষ পঞ্চায়েতে তালা ঝোলাতে পারছে কোথাও পুলিশ প্রশাসনের চাপে তা পারছে না। কিন্তু পরিস্থিতি এমনই।
নলকূপ বসানো নিয়ে প্রধানের স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে দফতরে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ আদিবাসীদের
RELATED ARTICLES