পারমিতা মণ্ডল,সিউড়ি,২৬ আগস্টঃ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সকলের মধ্যেই বিরাজ করেন,আর এই ভাবনায় সর্বভারতীয় সাংস্কৃতিক সংস্থা সংস্কার ভারতী বীরভূম জেলা সমিতির উদ্যোগে পাইকপাড়া সরস্বতী শিশুমন্দিরে অনুষ্ঠিত হলো কৃষ্ণ সাজো প্রতিযোগিতা। শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিনকে স্মরণে রেখে বিভিন্ন বয়সী শিশুদের নিয়ে কৃষ্ণ সাজো প্রতিযোগিতা দেখতে উৎসাহ ছিল চোখের পড়ার মতো।খুদেদের মধ্যে বংশীধারী,সুদর্শনধারী,গোঠের রাখাল কেউ বা ননীচোরা থেকে বালগোপাল। এমনকি কালীয়নাগ দমনকারী কৃষ্ণ সাজে শিশুদের অভিনয় ছিলো নজরকাড়া। সংস্কার ভারতীর এই কৃষ্ণ রূপসজ্জা প্রদর্শন প্রতিযোগিতায় দুটি বিভাগে মোট একশ জন অংশগ্রহণ করেছিল। ‘ক’ বিভাগে যথাক্রমে সম্পূর্ণা নরসুন্দর,যৌথভাবে তিতলি দাস ও আয়ুষ বার্নোয়ার এবং ঋদ্ধিমান চন্দ্র বিজয়ী ঘোষিত হয়। আর ‘খ ‘ বিভাগের বিজয়ীরা হলো অনিকেত রায়,সায়ন্তন বন্দ্যোপাধ্যায়,আয়েত্রিকা নন্দন। কৃষ্ণের নানা উক্তি,নাটক,নাচ ও ভাব-ভঙ্গিমায় শিশুদের নানারূপ দেখে আনন্দিত উদ্যোক্তা থেকে অভিভাবক সকলেই। কৃষ্ণ সেজে উপস্থাপন করতে পেরে খুশি শিশুরাও। শ্রীকৃষ্ণের প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বিচারক নীলাদ্রি ঘোষ,নাট্য ব্যক্তিত্ব শম্ভু নাথ সাহা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈকত সেনগুপ্ত। প্রতিযোগিতায় জাতি ধর্ম বর্ণের বিভেদ ভুলে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী অভিভাবকরা তাদের শিশুদের শ্রীকৃষ্ণ সাজিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। সমাজের উচ্চবর্ণ থেকে নিম্নবর্ণ বহু পরিবারের শিশুরা এমনকি মুসলিম পরিবারের সন্তানও এখানে সুদর্শনধারী শ্রীকৃষ্ণ সেজে মঞ্চে উপস্থিত হয়। সংস্থার সম্পাদক সুদীপ কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ভারতের রাষ্ট্র পুরুষ শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ শিশুদের মনে প্রতিফলিত হোক এটাই আমাদের উদ্দেশ্য”। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বহু শিশুর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি অন্য মাত্রা পায়। অবিভাবক সঞ্চিতা রায় চক্রবর্তী বলেন, “শিশুদের মনে শ্রীকৃষ্ণের গুণ প্রকাশিত হোক এই প্রার্থনা”।
জন্মাষ্টমীতে কৃষ্ণ সাজো প্রতিযোগিতায় শত কৃষ্ণের সমাহার
RELATED ARTICLES