নিজস্ব প্রতিনিধি,বর্ধমানঃ নিম্নচাপের জেরে চিন্তায় আউশগ্রামের সবজি চাষিরা। সামনে পুজোর মরশুম।এই সময় দুটো বেশি পয়সা বেশি পাবেন এই ছিল তাদের আশা। কিন্তু, অতিবৃষ্টি তাদের সে আশায় জল ঢেলে দিয়েছে।বর্ষা শেষের পর নাগাড়ে বৃষ্টি আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সবজি চাষিদের মাথায় হাত। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঠিক আগেই সবজি চাষে ব্যস্ত হয়েছিলেন আউশগ্রাম হরিনাথ পুরের চাষিরা।জমি চাষ করে ফুলকপি,বাঁধাকপি,লাউ, করলা, বেগুন, সহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি আগাম চাষ করেছিলেন লাভের আশায়। জমি চাষাবাদ শেষ হতে না হতেই শুরু হয় আবার অতিবৃষ্টি ও নিম্নচাপ।এর ফলে চিন্তিত চাষীরা। তবে এর পরে দুর্যোগে কেটে গিয়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এক মাসের মধ্যেই ক্ষেত থেকে উঠবে এইসব শীতকালীন শাকসবজি।তবে কতটা কী হবে তা নিয়ে সন্দিহান তাঁরা। প্রতিবার বেশি লাভ ও বাম্পার ফলন আশা না করলেও এসময় কিছু টাকা ঘরে আসনে এই প্রত্যাশায় থাকেন চাষিরা। বৈরী আবহাওয়া ও টানা নিম্নচাপের বৃষ্টির কারণে এবারে বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নিয়ে সবজি চাষাবাদ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান সবজি চাষিরা। তাদের আশা ছিল সামনেই দুর্গোৎসব।সেই সময় বেশ কিছু সবজি এবং নতুন আলু বাজারে আনা যাবে। সেগুলি ভাল দামে বিক্রি হলে ছেলে মেয়েদের সাজপোষাক এবং উৎসবের খরচ উঠে আসবে হঠাৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগ এসে পড়ায়। শীতকালীন সবজি চাষে ভাটা পড়ল চাষিরা জানাচ্ছেন; পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে তাদের এলাকায় কয়েকশো বিঘা জমিতে চাষ করেছেন একশোর বেশি চাষি।কার্যত তার মধ্যে হয়তো কয়েকজনই চলাভের মুখ দেখবেন। আবার অনেক চাষি জানাচ্ছেন, সরকারি ভাবে কোনোরকম সুযোগ সুবিধা তাঁরা পান না। এদের মধ্যে হরিনাথপুরের নীরদ রায় একজন চাষি। তার কথায় মনে হয় না লাভ হবে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা চলছে। সব্জি মনোমত ফলছে না। আর এক চাষি কৃষ্ণমোহন ভৌমিকের কথায়, আবহাওয়া ঠিক না হলে মুশকিল।অনেক সব্জি নষ্ট হয়ে যাবে।সার্বিকভাবে আউশগ্রামের হরিনাথপুরের চাষিরা আশা আশঙ্কার দোলাচলে দুলছেন।তারা আপাতত দুর্যোগ কাটার আশায় বসে আছেন।
বর্ষা শেষেও নাগাড়ে বৃষ্টি আর প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবজি চাষিদের মাথায় হাত
RELATED ARTICLES