Sunday, May 5, 2024
Google search engine
Homeদক্ষিণবঙ্গছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের স্বার্থে বিএড সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি

ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের স্বার্থে বিএড সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি

পারমিতা মণ্ডল,বোলপুর,২৬ নভেম্বরঃ ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের কথা ভেবে বিএড সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করল ছাত্রছাত্রী,শিক্ষক ও কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে বাবা সাহেব আম্বদেকর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছেও লিখিত ভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষের ক্ষোভের কথা জানানো হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার সকালে বোলপুরের-শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সভাকক্ষে রাজ্যের চারশোর বেশি বিএড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র প্রতিনিধি এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের যৌথ প্রথম রাজ্য কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। সভা থেকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে বিএড-এর ভর্তিকে কেন্দ্র করে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে তা সমাধানের জন্য সকলে একযোগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী,মুখ্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যকে চিঠি লিখে,ইমেল করবে। সেখানে নিজেদের সমস্যার কথা জানানো ও সমস্যা সমাধানে হস্তক্ষেপ দাবি করা হবে। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করা হবে। ছাত্রছাত্রী, কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকরা এদিন তাদের তিনটি শাখার পক্ষ থেকে পতাকা উত্তোলন করে ঐক্যবদ্ধতার বার্তা তুলে ধরার চেষ্টা করেন। এদিনের সমাবেশে, সম্মিলিত ভাবে প্রায় দুই হাজার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাবা সাহেব আম্বেদকর শিক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ২৫৩ টি বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল করার কথা ঘোষণা করেন। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রথম থেকেই সরব রাজ্যের বেসরকারি বি.এড কলেজের বড় অংশ। তাদের দাবি, যে কারণ তুলে ধরে ২৫৩ টি বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল করার কথা বলেছেন উপাচার্য সেটা ‘হাস্যকর’। আইন অনুসারে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের থেকে নো-অবজেকশান সার্টিফিকেট পাওয়ার পর, আইন মোতাবেক কোন কলেজের অনুমোদন দেওয়ার অধিকার শুধুমাত্র ‘এন সি টি ই’র। বাতিলের অধিকারও তাদের। আইনত বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র কোর্স তৈরি ও পঠনপাঠন বিষয়ে দেখভাল করে। তাই কোন নতুন আইনে রাজ্যের ২৫৩ টি কলেজের অনুমোদন বাতিল করলেন বাবা সাহেব আম্বেদকর শিক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা। তাদের অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে “দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য”-দের কোন বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া বা তা কার্যকর করার কোন অধিকার নেই। এমনকি কোন সিদ্ধান্ত নিতে গেলেও সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠক ডেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। অথচ কোনরকম বৈঠক ডাকা হয়নি বলেই দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কমিটির কোর্ট মেম্বাররা, এমনটাই জানান ফোরামের সদস্যরা। আদালত অবিলম্বে ছাত্র ভর্তির নির্দেশ দিলেও তা উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় মানছে না বলেও অভিযোগ করেন তারা। ওয়েস্ট বেঙ্গল এডুকেশন টিচার্স ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক অপূর্ব কুমার পাত্র জানান, “রাজ্য সরকার ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষা ক্ষেত্রে একটা স্বচ্ছতা ও স্থিতাবস্থা আনার চেষ্টা করছেন। সেই সময় উপাচার্যের এই সিদ্ধান্ত একটা অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করেছে। আজকের সমাবেশ থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা সকলে মুখ্যমন্ত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, শিক্ষামন্ত্রী সহ সকলকে চিঠি লিখবো। ইমেল করবো। আমরা এই সমস্যা সমাধানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করছি।” তিনি আরও বলেন যে উপাচার্য ২৫৩টি কলেজের অনুমোদন বাতিল ঘোষণা করেল কোন কোন কলেজে সেই তথ্য এখনো প্রকাশিত করেননি। ফলে তার সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে।  কলেজ কর্তৃপক্ষদের নিয়ে গঠিত ওয়েস্ট বেঙ্গল এডুকেশন ফোরামের পক্ষ থেকে মলয় পীট, দিব্যেন্দু বাগ বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই পুরো বিষয়টি লিখিত ভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী,শিক্ষামন্ত্রী,মুখ্য সচিব সহ প্রশাসনিক কর্তাদের জানিয়েছি। উপাচার্যের এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের দশ হাজার মানুষকে কর্মচ্যুত করতে চলেছে। আমাদের স্থির বিশ্বাস রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় আমরা এই সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে পারবো।”

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments