দুর্গাপুর,৩ জুলাইঃ বিয়েবাড়ির তত্ত্ব হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয় হেলমেট,ব্রেইথ অ্যানালাইজার,দূষণ মাপার যন্ত্র,ফাইন মেশিন। এদিন সকালে দুর্গাপুরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা বেনাচিতি-প্রান্তিকার পাঁচমাথা মোড়ে দুর্গাপুর সাব ট্রাফিক গার্ডের উদ্যোগে সাজানো হয় একটি বিয়েবাড়ির পরিবেশ। সেখানে ছিলেন বর কনে, পুরোহিতও। আসলে দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার গঙ্গেস গোপ আর রাধা বল্লভ মুখার্জীকে বর কনে হিসেবে সাজানো হয়েছিল। বিয়ের নিয়ম মতো পুরোহিত মন্ত্র উচ্চারণ করেই বিয়ে দিলেন। খোলা রাস্তার উপর এই অনুষ্ঠান দেখতে সেখানে লোকজনদের ভিড় জমে যায়। বিয়ের পর যৌতুক হিসেবে দেওয়া হল দামি বাইক। তবে কোনো হেলমেট দেওয়া হল না। হটাৎই দেখা গেল বিয়েবাড়িতে এক নিমন্ত্রিত অতিথি বরের শ্বশুরমশাইকে জিঙ্গেস করলেন, “ আপনি কি মেয়ে জামাইয়ের সুরক্ষা চান না”? প্রশ্ন শুনে শ্বশুর মশাই বললেন, “ কেন একথা বলছেন?” তখনই সেই আমন্ত্রিত অতিথি তাকে বলেন, “আমি দুর্গাপুর সাব ট্রাফিক গার্ডের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিনয় লায়েক। আমি ব্যবস্থা করছি আপনার মেয়ে জামাইয়ের সুরক্ষার জন্য হেলমেটের। আর হেলমেট না পরলে কি হতে পারে? কি কি জরিমানা হতে পারে? সেগুলিও বোঝাচ্ছি। তারপরেই ট্রাফিকের কর্মীরা সেই বিয়েবাড়িতে হেলমেট,ব্রেইথ আ্যনালাইজার,দূষণ মাপার যন্ত্র,ফাইন মেসিন নিয়ে হাজির হয় বিবাহের তত্ত্ব হিসাবে। বর কনে দুজনকেই হেলমেট দেওয়া হয়। আর তারপরই বর,কনে এবং সেখানে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে সচেতনতার বার্তা দেওয়া শুরু হয়। বর কনেও রাস্তায় নেমে হেলমেটহীন পথ চলতি মানুষকে হেলমেট পরার বার্তা দেন। দুর্গাপুর সাব ট্রাফিক গার্ডের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিনয় লায়েক বলেন, “কদিন পরই রথযাত্রা। দেখা যায় বহু মানুষ হেলমেট ছাড়াই রাস্তায় বাইক চালাতে থাকেন। ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকেই যায়। মৃত্যুও ঘটে যায়। তাই সাধারন মানুষকে পথ নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতার বার্তা দিতেই এই অভিনব উদ্যোগ”। উপস্থিত সাধারন মানুষও দুর্গাপুর ট্রাফিক গার্ডের এই অভিনব কৌশলের মাধ্যমে পথ নিরাপত্তার প্রচার উপভোগ করেন ও তাদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
অভিনব কৌশলে দুর্গাপুরে ট্রাফিক পুলিশের পথ নিরাপত্তার প্রচার
RELATED ARTICLES