কলকাতা,২৫ সেপ্টেম্বরঃ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক সোরগোল ফেলেছিল সন্দেশখালি কাণ্ড। গ্রামের সাধারন মহিলা রেখা পাত্রকে প্রার্থী করে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিল বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নিজেও রেখা পাত্রের প্রচারে এসেছিলেন। সব মিলিয়ে বিজেপির কাছে বসিরহাট আসনটি জেতার মতো পরিস্থিতি তৈরী হয়েছিল। এই প্রেক্ষাপটে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কাকে প্রার্থী করবে তা নিয়ে তৈরী হয় ব্যাপক আগ্রহ। অবশেষে একাধিক পরীক্ষায় পরীক্ষিত হাজি নুরুল ইসলামের ওপরেই ভরসা রেখেছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলা বাহুল্য বিজেপির রেখা পাত্রকে বিপুল ভোটে হারিয়ে বহিরহাটের প্রেসটিজ ফাইটে মমতাকে সসম্মানে পাশ করিয়ে দিয়েছিলেন হাজি নুরুল। অবশেষে বুধবার বেলা ১টা ১৫ মিনিটে দত্তপুকুরের বয়রা গ্রামে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই সাংসদ। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। যকৃতের ক্যান্সারে আক্রান্ত হাজি নুরুল সেভাবে প্রচারে বেরোতে পারেননি। প্রচার চলাকালীন বেশ কয়েকবার হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয় তাঁকে। ভোটের পরেও কলকাতা ও দিল্লিতে একাধিকবার ভর্তি ছিলেন তিনি। ভোটে প্রার্থী করার সময় থেকেই প্রশ্ন উঠছিল তাঁর শারীরিক সুস্থতা নিয়ে। সেই উদ্বেগই অবশেষে সত্যি করে প্রয়াত হলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ হাজি নুরুল ইসলাম। তার প্রয়াণে বসিরহাটে উপনির্বাচন অবধারিত হয়ে উঠল। তৃণমূলের দীর্ঘদিনের সৈনিক হাজি নুরুল পেশায় ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। ২০০৯ সাল থেকে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি তিনি। সেই বছরই বসিরহাট থেকে জয়ী হয়ে সাংসদ হন তিনি। ২০১৪ সালে জঙ্গিপুর কেন্দ্র থেকে লোকসভা ভোটে লড়ে হেরে যান। ২০১৬ সালে তাঁকে হাড়োয়া বিধানসভায় প্রার্থী করেন মমতা। জয়ী হন তিনি। ২০২১ সালেও ওই কেন্দ্র থেকে ফের নির্বাচিত হন হাজি নুরুল।
প্রয়াত বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ হাজি নুরুল
RELATED ARTICLES