Thursday, October 31, 2024
Google search engine
Homeদক্ষিণবঙ্গনেতাজীর প্রপৌত্রদের উপস্থিতিতে অভিভূত পুরুলিয়ার নীলকণ্ঠ চট্টোপাধ্যায়ের পরিবার

নেতাজীর প্রপৌত্রদের উপস্থিতিতে অভিভূত পুরুলিয়ার নীলকণ্ঠ চট্টোপাধ্যায়ের পরিবার

জাতীয় নায়ক সুভাষ চন্দ্র বসুর স্মৃতি বিজড়িত পুরুলিয়া শহরের ‘নীলকণ্ঠ নিবাস’-এ গিয়ে আবেগ চাপা রাখতে পারলেন না তাঁর দুই প্রপৌত্র সুগত বসু ও সুমন্ত্র বসু। তাঁদের উপস্থিতিতে অভিভূত নীলকণ্ঠ চট্টোপাধ্যায়ের পরিবার

সাথী প্রামানিক,পুরুলিয়াঃ জাতীয় নায়ক সুভাষ চন্দ্র বসুর স্মৃতি বিজড়িত পুরুলিয়া শহরের ‘নীলকণ্ঠ নিবাস’-এ গিয়ে আবেগ চাপা রাখতে পারলেন না তাঁর দুই প্রপৌত্র সুগত বসু ও সুমন্ত্র বসু। তাঁদের উপস্থিতিতে অভিভূত নীলকণ্ঠ চট্টোপাধ্যায়ের পরিবার। নেতাজী নেই। তাঁর স্মৃতি বিজড়িত ভূমিতে পা রেখে আবেগঘন পরিবেশ দেখা গেল সেখানে। সম্প্রতি,পুরুলিয়ায় দুদিনের সফরে এসেছিলেন অধ্যাপক ড.সুগত বসু ও ড.সুমন্ত্ৰ বসু। তাঁরা দুইজনই সুভাষ চন্দ্র বসুর ভাইপো শিশির বসুর পূত্রদ্বয়। তাঁরা পুরুলিয়া শহরের নিস্তারিণী মহাবিদ্যালয়ের স্মারক বক্তৃতামালা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে ‘বাংলায় মহামিলনের সেতু,দেশবন্ধু’ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ড.সুগত বসু। একই অনুষ্ঠানে ‘ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতার মর্ম ও প্রাসঙ্গিকতা’ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সের অধ্যাপক সুমন্ত্র বসু। তার পর প্রয়াত নীলকণ্ঠ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান। নেতাজীর জন্ম শতবর্ষে বাড়ির অলিন্দে একটি আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করে চট্টোপাধ্যায় পরিবার। স্মৃতির সরণিতে উপস্থিত হয়ে ‘নেতাজী’কে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা। ১৯৩৯ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনি পুরুলিয়ায় আসেন তাঁর নব গঠিত ফরওয়ার্ড ব্লক দলের সাংগঠনিক শক্তির বিকাশ ও প্রসারের কাজে। পরাধীন ভারতবর্ষে তাঁর মতো নেতার সান্নিধ্যে থাকতে চেয়ে ছুটে এসেছিলেন অনেকেই। ওই সময় তখন পুরুলিয়া শহরের নামোপাড়ার বাসিন্দা প্রখ্যাত আইনজীবী এবং পুরুলিয়া পুরসভার প্রথম পুরপ্রধান নীলকণ্ঠ চট্টোপাধ্যায়ের বিশাল নাম ডাক ছিল। ওই দিন তাঁর বাড়িতেই পদার্পণ করেন পরাধীনতার শিকল থেকে মুক্তির উপায় খোঁজা ব্যক্তিত্ব সুভাষ চন্দ্র বসু। তাঁকে স্বাগত জানিয়ে সমাদরে বাড়িতে নিয়ে যান নীলকন্ঠ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর দুই ছেলে অর্ধেন্দু শেখর চট্টোপাধ্যায় এবং সুধাংশু ধর চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন অর্ধেন্দু বাবুর বড় ছেলে কৈশোরে থাকা প্রণব চট্টোপাধ্যায়। ‘নেতাজী’কে চাক্ষুস করতে পুরুলিয়া শহর ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বরা এবং তাঁর অনুগামীরা হাজির হয়েছিলেন তাঁদের বাড়ির সামনে। ওই দিন নেতাজীর ভীষণ জ্বর ছিল। রাত্রিবাস করেছিলেন। সামান্য খাবার খেয়ে রওনা দিয়েছিলেন। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর মতো জগত্খ্যাত বিশাল ব্যক্তিত্ব পদার্পণ করেছিলেন এই বাড়িতে। তাঁর জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানান। তাঁকে না দেখলেও তাঁর স্মৃতি বিজড়িত নানা ছবি,আসবাব আজ অমলিন হয়ে রয়েছে। ওই পরিবারের সদস্য রাজর্ষি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা কৃতজ্ঞ ও অভিভূত। তাঁরা নেতাজীর তৃতীয় প্রজন্ম হিসেবে এসেছিলেন। আর আমরা নীলকণ্ঠ চট্টোপাধ্যায়ের চতুর্থ প্রজন্ম যাঁরা স্মৃতির স্মরণীতে রয়েছি। আবেগে পরিপূর্ণ আমরা।”

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments