Friday, November 22, 2024
Google search engine
Homeদক্ষিণবঙ্গক্রেতা সেজে ৫ হরিণের সিং পাচারকারীকে বমাল গ্রেপ্তার

ক্রেতা সেজে ৫ হরিণের সিং পাচারকারীকে বমাল গ্রেপ্তার

নিজস্ব সংবাদদাতা,বর্ধমান,১৪ মার্চঃ ক্রেতা সেজে হরিণের সিং পাচারকারী ৫ জনকে গ্রেপ্তার করল বনদপ্তর। বৃহস্পতিবার বর্ধমান জেলা বনদপ্তরের এ্যাসিস্ট্যাণ্ট ডিভিশনাল ফরেষ্ট অফিসার সোমনাথ চৌধুরী জানিয়েছেন,ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর ইস্টার্ন রিজিয়নের কলকাতা অফিসের মাধ্যমে গত মঙ্গলবার থেকে এই সামগ্রী বর্ধমানের জৌগ্রামে আসার কথা ছিল। সেই সূত্র অনুযায়ী বুধবার থেকেই তাঁরা তৈরী ছিলেন। যেভাবেই হোক পাচারকারীদের আসতে দেরী  হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বুধবার কুলীন গ্রামে বিকাল ৫টা- সাড়ে ৫ টায় ঢোকে। আমাদের দুজন স্টাফ পরিচয় গোপন করে ক্রেতা হিসেবে দাম দর করতে শুরু করেন। কাল রাত হয়ে যাওয়ায় অপারেশন হয়নি। আজ সকাল থেকে অপারেশন হয়। জামালপুর থানা এলাকার কুলীন গ্রামে পোস্ট অফিসের কাছে একটি বাড়িতে এনে রাখা হয়েছিল। পুলিশকে গতকালই জানানো হয়েছিল। আজও পুলিশকে জানানো হয়। ৫ জন পাচারকারীকে ধরা হয়েছে। এরমধ্যে ২ জন এগুলো বাইরে থেকে নিয়ে এসেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ঝাড়খন্ড বা বিহার থেকে এই সিংগুলি নিয়ে আসা হয়েছে। এগুলি প্রাপ্ত বয়স্ক সম্বর হরিণের শিং। ২০ পিস টুকরো, তবে কটা হরিণের শিং এখনই বলা যাবে না। ধৃতদের মধ্যে ৩ জন জৌগ্রামের বাসিন্দা। বাকি ২ জন আসানসোলের বাসিন্দা বলে ধৃতরা জানালেও কিন্তু ঠিকানা এখনও খতিয়ে দেখা হয়নি। এই ২ জন প্রধানত বন্যপ্রান সংক্রান্ত অপরাধের র‍্যাকেটের সাথে যুক্ত। তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে আসানসোল বার্ণপুর রোডের বাসিন্দা শরদ কুমার সিনহা, আসানসোলের চাঁদা মোড়ের বাসিন্দা নয়ন কান্তি বাউড়ি, জৌগ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ রায়, শংকর তালুকদার এবং সুশান্ত তালুকদার। সোমনাথবাবু জানিয়েছেন, সাধারণত ঘর সাজানোর ক্ষেত্রেই এগুলি ব্যবহৃত হয়। তবে কেন এবং কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, বুধবার থেকেই বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর লোকজন জৌগ্রামে ছিলেন এবং সঙ্গে ছিলেন বনদপ্তরের লোকজনও। যৌথ প্রচেষ্টায় এই সফলতা পাওয়া গেছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments